ভোলায় সাধারণ মানুষের গাছের ওপর বনবিভাগের লোলুপদৃষ্টি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ভোলায় সাধারণ মানুষের গাছের ওপর বনবিভাগের লোলুপদৃষ্টি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত

ভোলায় সাধারণ মানুষের গাছের ওপর বনবিভাগের লোলুপদৃষ্টি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত

ভোলায় সাধারণ মানুষের গাছের ওপর বনবিভাগের লোলুপদৃষ্টি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত
ছবি: ভয়েস অব বরিশাল




বিশেষ প্রতিনিধি॥ ভোলা-বরিশাল-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে লিজ নিয়ে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার রোপন করা গাছ কাটতে বাঁধা দিচ্ছে উপকূলীয় বনবিভাগ। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।

 

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন সমাধান পায়নি ভুক্তভোগী ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা লোকজন। মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট থেকে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থাকে গাছ কাটার অনুমতি দিলেও তারা রোপনকৃত গাছ কাটার প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নাম্বারিং করতে গেলে বনবিভাগ বাঁধা প্রদান করে এবং মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয় সংস্থার কর্মকর্তাদেরকে।

 

সুপ্রিমকোর্টের রায় পেয়ে বনবিভাগ ও ঠিকাদারের বাধাঁ এবং হুমকি-ধামকির কারণে গাছ কাটতে পারছে না সংস্থাটি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান চান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক।

 

রবিবার লিখিত অভিযোগে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন জানান, ২০১১ সালের ১৬ আগস্ট (৮ বছর পূর্বে) যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং সজস-৩ অধিশাখা নং সবি/যোগা/সওজ-৩/২এল ও-৩/২০১০-২৪৩ এবং ০৬-০৯-২০১১ সালের সড়ক ও জনপথের ভোলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ৪১ সাল পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের জায়গা লিজ নেন।

 

লিজ নেওয়ার পর থেকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষুধী গাছ রোপন করেন। এই গাছ বড় হলে বিক্রি করে এলাকার হতদরিদ্র মানুষ উপকৃত হওয়ার কথা।

 

কিন্তু বনায়নকৃত গাছ বড় হওয়ার পর লোলুপদৃষ্টি পড়ে বনবিভাগের। সংস্থার রোপন করা গাছ বনবিভাগ তাদের বলে দাবি করে। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসক বনবিভাগ, সড়ক ও জনপথ এবং ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থাকে নিয়ে সমাধানে বসেন।

 

এসময় জেলা প্রশাসক বনবিভাগকে বনায়নের মালিকানার প্রমাণপত্রের কাগজ দেখাতে বলেন এবং দেখানোর জন্য তারিখ নির্ধারন করে দেন। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই সমস্যার সমাধান না করে বনবিভাগ গাছ বিক্রির জন্য নাম্বারিং ও টেন্ডার আহ্বান করলে সংস্থার পক্ষ থেকে আপত্তি দেয়া হয়। এরপর আবার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বিষয়টি সুরাহার জন্য উভয় পক্ষ নিয়ে সভা হয়।

 

সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হতেই বনবিভাগ খামখেয়ালীভাবে গাছ কাটার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে। ঠিকাদার হঠাৎ করে ওই গাছ কাটতে আসলে সংস্থার পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়।

 

যার নং-৪২১৯/২০২০। বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও এ কে এম জহিরুল হক এর হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রিট পিটিশনের শুনানি সম্পন্ন করেন। শুনানি শেষে বনবিভাগের দেয়া টেন্ডারসহ এ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

 

বনবিভাগ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ আবেদনটি নিস্পত্তি করে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে রায় দিয়ে তাদেরকে এক মাসের মধ্যে গাছ কাটার নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

সুপ্রিমকোর্টের আদেশ বলে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কর্তৃপক্ষ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের রোপনকৃত গাছে নাম্বারিং করতে যায়। এসময় বনবিভাগ ও তাদের ঠিকাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছে নাম্বারিং কাজে বাঁধা প্রদান করে।

 

বনবিভাগ ও ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তা ও শ্রমিকদেরকে গাছের কাছে না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এমনকি তারা সংস্থার লোকদেরকে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে হয়রানী করারও হুমকি দেয়। বনবিভাগ ও ঠিকাদারের হুমকির ভয়ে সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়।

 

তিনি আরও জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও দেশের একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান ওই রায়কে উপেক্ষা করে কিভাবে আমাদের লোকদেরকে হুমকি-ধামকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখায়? আমরা যাতে আমাদের লিজ নেওয়া যায়গায় রোপনকৃত গাছগুলো সুষ্ঠুভাবে কাটে বিক্রি করে যাতে চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্থাসহ উপকারভোগী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পারি সে জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে যথাযথ সমাধান আশা করছি।

 

এদিকে, ভোলা বন বিভাগের সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি নিয়মে এগুলো টেন্ডার দিয়েছি।

 

সে অনুযায়ী ঠিকাদারকে ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়েছি। পরে ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি এনজিও আদালতে মামলা করে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালত থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD